Translation of the Meanings Surah Al-Wāqi‘ah - Bengali translation of Al-Mukhtsar in interpretation of the Noble Quran - Page Number 536 - Encyclopedia of the Noble Quran

Verse: 51

ثُمَّ إِنَّكُمۡ أَيُّهَا ٱلضَّآلُّونَ ٱلۡمُكَذِّبُونَ

৫১. অতঃপর হে পুনরুত্থান অস্বীকারকারী ব্যক্তিরা! যারা সরল পথ থেকে বিচ্যুত।

Verse: 52

لَأٓكِلُونَ مِن شَجَرٖ مِّن زَقُّومٖ

৫২. তোমরা যাক্কুম নামক নোংরা ও নিকৃষ্ট বৃক্ষ থেকে ফল ভক্ষণ করবে।

Verse: 53

فَمَالِـُٔونَ مِنۡهَا ٱلۡبُطُونَ

৫৩. ফলে তোমরা এ বৃক্ষের তিক্ত ফল দিয়ে নিজেদের খালি উদর পূর্ণ করবে।

Verse: 54

فَشَٰرِبُونَ عَلَيۡهِ مِنَ ٱلۡحَمِيمِ

৫৪. অতঃপর প্রচÐ উত্তপ্ত গরম পানি পান করবে।

Verse: 55

فَشَٰرِبُونَ شُرۡبَ ٱلۡهِيمِ

৫৫. ফলে তারা প্রচুর পরিমাণে তা পান করবে। যেমন উট তীব্র পিপাসায় অধিক পরিমাণে পানি পান করে।

Verse: 56

هَٰذَا نُزُلُهُمۡ يَوۡمَ ٱلدِّينِ

৫৬. উপরোল্লেখিত তিক্ত খাবার ও গরম পানীয় দিয়ে তাদেরকে প্রতিদান দিবসে অভ্যর্থনা জানানো হবে।

Verse: 57

نَحۡنُ خَلَقۡنَٰكُمۡ فَلَوۡلَا تُصَدِّقُونَ

৫৭. হে মিথ্যারোপকারীরা! আমি তোমাদেরকে অনস্তিত্ব থেকে সৃষ্টি করেছি। তবে কি তোমরা এ কথা বিশ্বাস করো না যে, আমি তোমাদের মৃত্যুর পর আবারো তোমাদেরকে পুনরুত্থিত করবো?!

Verse: 58

أَفَرَءَيۡتُم مَّا تُمۡنُونَ

৫৮. হে লোক সকল! তোমরা কি ভেবে দেখেছো, যে বীর্য তোমরা স্ত্রীদের গর্ভাশয়ে নিক্ষেপ করো?!

Verse: 59

ءَأَنتُمۡ تَخۡلُقُونَهُۥٓ أَمۡ نَحۡنُ ٱلۡخَٰلِقُونَ

৫৯. তোমরা কি এ বীর্য সৃষ্টি করো; না কি আমিই তা সৃষ্টি করি?!

Verse: 60

نَحۡنُ قَدَّرۡنَا بَيۡنَكُمُ ٱلۡمَوۡتَ وَمَا نَحۡنُ بِمَسۡبُوقِينَ

৬০. আমি তোমাদের মাঝে মৃত্যুর ফায়সালা করেছি। ফলে তোমাদের প্রত্যেকের জন্য এমন এক নির্ধারিত মেয়াদ রয়েছে যার আগে সে মরবে না। আর না তার পরে মরবে। আর না আমি মৃত্যু দিতে অপারগ।

Verse: 61

عَلَىٰٓ أَن نُّبَدِّلَ أَمۡثَٰلَكُمۡ وَنُنشِئَكُمۡ فِي مَا لَا تَعۡلَمُونَ

৬১. তোমাদের বর্তমান সৃষ্টি ও রূপ পরিবর্তন করে তোমাদের অজ্ঞাত অন্য সৃষ্টি ও রূপ প্রদান করতে।

Verse: 62

وَلَقَدۡ عَلِمۡتُمُ ٱلنَّشۡأَةَ ٱلۡأُولَىٰ فَلَوۡلَا تَذَكَّرُونَ

৬২. তোমরা অবশ্যই জেনেছো কিভাবে আমি তোমাদের প্রথম সৃষ্টি সম্পন্ন করেছি। তবে কি তোমরা উপদেশ গ্রহণ করো না এবং এ কথা বিশ্বাস করো না যে, যিনি তোমাদেরকে প্রথমবার সৃষ্টি করেছেন তিনি তোমাদের মৃত্যুর পর পুনর্বার সৃষ্টি করতে সক্ষম?!

Verse: 63

أَفَرَءَيۡتُم مَّا تَحۡرُثُونَ

৬৩. তোমরা মাটিতে যে বীজ বপন করো তা কি ভেবে দেখেছো?!

Verse: 64

ءَأَنتُمۡ تَزۡرَعُونَهُۥٓ أَمۡ نَحۡنُ ٱلزَّٰرِعُونَ

৬৪. তোমরাই কি এর কলি উৎপন্ন করো; না কি আমি তা করি?!

Verse: 65

لَوۡ نَشَآءُ لَجَعَلۡنَٰهُ حُطَٰمٗا فَظَلۡتُمۡ تَفَكَّهُونَ

৬৫. আমি যদি চাই তাহলে এই শস্যকে খড়কুটোয় পরিণত করে দিতে পারি। যা পরিপক্ব ও হাতে পাওয়ার নিকটবর্তী সময়ে পৌঁছে গিয়েছিলো। ফলে তোমরা তা দেখে আশ্চর্যান্বিত হবে?!

Verse: 66

إِنَّا لَمُغۡرَمُونَ

৬৬. তখন তোমরা বলবে, আমরা অবশ্যই যা ব্যয় করেছি এর ক্ষয়-ক্ষতির শাস্তি পোহাচ্ছি।

Verse: 67

بَلۡ نَحۡنُ مَحۡرُومُونَ

৬৭. বরং আমরা রিযিক থেকে বঞ্চিত।

Verse: 68

أَفَرَءَيۡتُمُ ٱلۡمَآءَ ٱلَّذِي تَشۡرَبُونَ

৬৮. তোমরা কি পিপাসার মুহূর্তে পানি পান করার বিষয়ে চিন্তা করেছো?!

Verse: 69

ءَأَنتُمۡ أَنزَلۡتُمُوهُ مِنَ ٱلۡمُزۡنِ أَمۡ نَحۡنُ ٱلۡمُنزِلُونَ

৬৯. তোমরা কি একে আসমানের মেঘমালা থেকে অবতারণ করিয়েছো, না কি আমি অবতারণকারী?!

Verse: 70

لَوۡ نَشَآءُ جَعَلۡنَٰهُ أُجَاجٗا فَلَوۡلَا تَشۡكُرُونَ

৭০. আমি যদি চাই সেটিকে প্রচÐ রকমের লবনাক্ত বানাতে যা পান করা যায় না, না সেচকার্যে ব্যয় হয় তাহলে আমি তা করতে পারি। তবে আল্লাহ যে তোমাদের প্রতি দয়াপরবশ হয়ে সেটিকে সুমিষ্ট করে অবতরণ করলেন সে জন্য তোমরা কেন তাঁর শুকরিয়া আদায় করো না?!

Verse: 71

أَفَرَءَيۡتُمُ ٱلنَّارَ ٱلَّتِي تُورُونَ

৭১. তোমরা কি সেই আগুনকে দেখেছো যেটিকে তোমরা নিজেদের উপকারার্থে প্রজ্বলিত করে থাকো?!

Verse: 72

ءَأَنتُمۡ أَنشَأۡتُمۡ شَجَرَتَهَآ أَمۡ نَحۡنُ ٱلۡمُنشِـُٔونَ

৭২. তোমরাই কি প্রজ্বলিত করণের বৃক্ষটি সৃষ্টি করেছো, না কি আমি তোমাদের প্রতি দয়াপরবশ হয়ে তা সৃষ্টি করেছি?!

Verse: 73

نَحۡنُ جَعَلۡنَٰهَا تَذۡكِرَةٗ وَمَتَٰعٗا لِّلۡمُقۡوِينَ

৭৩. আমি এ আগুনকে তোমাদের জন্য উপদেশ বানিয়েছি। যা তোমাদেরকে পরকালের আগুনের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। আর সেটিকে তোমাদের মধ্যকার ভ্রমণকারীদের জন্য উপকারীও বানিয়েছি।

Verse: 74

فَسَبِّحۡ بِٱسۡمِ رَبِّكَ ٱلۡعَظِيمِ

৭৪. তাই হে রাসূল! আপনি নিজ মহান প্রতিপালকের জন্য বেমানান এমন বস্তু থেকে তাঁর পবিত্রতা ঘোষণা করুন।

Verse: 75

۞ فَلَآ أُقۡسِمُ بِمَوَٰقِعِ ٱلنُّجُومِ

৭৫. আল্লাহ তারকারাজির অবস্থান ও স্থানের শপথ করেছেন।

Verse: 76

وَإِنَّهُۥ لَقَسَمٞ لَّوۡ تَعۡلَمُونَ عَظِيمٌ

৭৬. তোমরা যদি এ সব অবস্থানের মর্যাদা জানতে তাহলে বুঝতে, এর কসম খাওয়া কতো মস্তবড় ব্যাপার। তাতে রয়েছে অগণিত নিদর্শন ও উপদেশাবলী।

Benefits of the Verses on this page:

• دلالة الخلق الأول على سهولة البعث ظاهرة.

ক. প্রথম বারের সৃষ্টি পুনরুত্থানের প্রমাণ বহনের ক্ষেত্রে সুস্পষ্ট।

• إنزال الماء وإنبات الأرض والنار التي ينتفع بها الناس نعم تقتضي من الناس شكرها لله، فالله قادر على سلبها متى شاء.

খ. পানির অবতারণ, যমীনের উৎপাদন ও মানুষের উপকারে ব্যবহৃত আগুন হলো এমন সব নিয়ামত যা মানুষের পক্ষ থেকে আল্লাহর শুকরিয়া আদায়ের দাবি রাখে। কেননা, আল্লাহ চাইলে তিনি তা হরণ করতে সক্ষম।

• الاعتقاد بأن للكواكب أثرًا في نزول المطر كُفْرٌ، وهو من عادات الجاهلية.

গ. বৃষ্টি বর্ষণে তারকার প্রভাবে বিশ্বাস রাখা কুফরী। যা জাহিলী যুগের প্রথা।