অৰ্থানুবাদ ছুৰা আল-ক্বিয়ামাহ - আল-মুখতাচাৰ ফী তাফছীৰিল কোৰআনিল কাৰীমৰ বাংলা অনুবাদ - পৃষ্ঠা নং 578 - আল-কোৰআনুল কাৰীমৰ বিশ্বকোষ

আয়াত: 20

كَلَّا بَلۡ تُحِبُّونَ ٱلۡعَاجِلَةَ

২০. কষ্মিনকালেও ব্যাপারটি তেমন নয় যেমনটি তোমরা পুনরুত্থান অসম্ভব বলে দাবী করো। কেননা, তোমরা এ কথা জানো যে, যিনি তোমাদেরকে প্রথমবারের মতো সৃষ্টি করতে সক্ষম তিনি তোমাদের মৃত্যুর পর পুনরুত্থানে কখনোই অপারগ নন। বরং পুনরুত্থানকে অস্বীকার করার মূল কারণ হলো ক্ষণস্থায়ী দুনিয়ার জীবনের প্রতি তোমাদের চরম মোহ।

আয়াত: 21

وَتَذَرُونَ ٱلۡأٓخِرَةَ

২১. আর পরকালের জীবনকে চরমভাবে পরিত্যাগ করা। যার সঠিক পথ হলো আল্লাহর নির্দেশিত বিষয়াদির আনুগত্য এবং তাঁর নিষিদ্ধ বিষয়াদি থেকে বিরত থাকা।

আয়াত: 22

وُجُوهٞ يَوۡمَئِذٖ نَّاضِرَةٌ

২২. ঈমানদার ও সৌভাগ্যবানদের চেহারায় সে দিন আনন্দের ছাপ থাকবে। সেগুলোতে জ্যোতি বহমান থাকবে।

আয়াত: 23

إِلَىٰ رَبِّهَا نَاظِرَةٞ

২৩. সেগুলো স্বীয় প্রতিপালকের দর্শন উপভোগ করে তাঁর প্রতি চেয়ে থাকবে।

আয়াত: 24

وَوُجُوهٞ يَوۡمَئِذِۭ بَاسِرَةٞ

২৪. পক্ষান্তরে কাফির ও হতভাগ্যদের চেহারা সে দিন কুঞ্চিত থাকবে।

আয়াত: 25

تَظُنُّ أَن يُفۡعَلَ بِهَا فَاقِرَةٞ

২৫. সে দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করবে যে, তার উপর মহা শাস্তি ও কষ্টদায়ক ভোগান্তি অবধারিতভাবে নেমে আসবে।

আয়াত: 26

كَلَّآ إِذَا بَلَغَتِ ٱلتَّرَاقِيَ

২৬. ব্যাপারটি মূলতঃ মুশরিকদের ধারণা অনুযায়ী নয়। যে তারা মারা গেলে তাদেরকে আর শাস্তি প্রদান করা হবে না। বস্তুতঃ তাদের কারো প্রাণ যখন কণ্ঠনালীতে এসে পৌঁছাবে।

আয়াত: 27

وَقِيلَ مَنۡۜ رَاقٖ

২৭. আর তারা পরস্পর বলাবলি করবে, কেউ কি একে ঝাড়ফুঁক করবে; যাতে সে অরোগ্য লাভ করতে পারে?!

আয়াত: 28

وَظَنَّ أَنَّهُ ٱلۡفِرَاقُ

২৮. যে মৃত্যুর যন্ত্রণায় তখন আক্রান্ত সে নিশ্চিত হয়ে যাবে যে, এখনই দুনিয়া থেকে মরণের মাধ্যমে তাকে পৃথক হতে হবে।

আয়াত: 29

وَٱلۡتَفَّتِ ٱلسَّاقُ بِٱلسَّاقِ

২৯. দুনিয়ার শেষ প্রান্তে এবং আখিরাতের শুরুতে তখন সকল বিপদাপদ একত্রিত হবে।

আয়াত: 30

إِلَىٰ رَبِّكَ يَوۡمَئِذٍ ٱلۡمَسَاقُ

৩০. যখন এ পরিস্থিতি তৈরী হবে তখন মৃত ব্যক্তিকে তার রবের দিকে হাঁকিয়ে নেয়া হবে।

আয়াত: 31

فَلَا صَدَّقَ وَلَا صَلَّىٰ

৩১. বস্তুতঃ কাফির স্বীয় রাসূল তার নিকট যা নিয়ে আগমন করেছেন সে সেটিকে সত্যায়ন করে নি। আর না মহান আল্লাহর উদ্দেশ্যে সে নামায পড়েছে।

আয়াত: 32

وَلَٰكِن كَذَّبَ وَتَوَلَّىٰ

৩২. বরং সে স্বীয় রাসূল তার নিকট যা নিয়ে আগমন করেছেন সে সেটির প্রতি মিথ্যারোপ করেছে এবং তা থেকে বিমুখ থেকেছে।

আয়াত: 33

ثُمَّ ذَهَبَ إِلَىٰٓ أَهۡلِهِۦ يَتَمَطَّىٰٓ

৩৩. অতঃপর এ কাফির স্বীয় পরিজনের নিকট তার পদচালনায় অহঙ্কার প্রদর্শন করে চলে যায়।

আয়াত: 34

أَوۡلَىٰ لَكَ فَأَوۡلَىٰ

৩৪. ফলে আল্লাহ উক্ত কাফিরকে এ বলে সাবধান করলেন যে, তার শাস্তি তার পেছন ধরেছে এবং সেটি তার নিকটবর্তী হয়েছে।

আয়াত: 35

ثُمَّ أَوۡلَىٰ لَكَ فَأَوۡلَىٰٓ

৩৫. অতঃপর তিনি বাক্যটিকে তাগিদের জন্য পুনর্বার আওড়ালেন। তাই তিনি বললেন, অতঃপর শাস্তি তার পেছন ধরেছে এবং সেটি তার নিকটবর্তী হয়েছে।

আয়াত: 36

أَيَحۡسَبُ ٱلۡإِنسَٰنُ أَن يُتۡرَكَ سُدًى

৩৬. মানুষ কি মনে করেছে যে, আল্লাহ তার উপর কোনরূপ বিধি-বিধান আরোপ করা ব্যতীত দায়িত্বহীনভাবে তাকে ছেড়ে দিয়েছেন?

আয়াত: 37

أَلَمۡ يَكُ نُطۡفَةٗ مِّن مَّنِيّٖ يُمۡنَىٰ

৩৭. এ মানুষটি কি একদিন বীর্যের ফোটারূপে ছিলো না। যা গর্ভাশয়ে স্থির করা হতো।

আয়াত: 38

ثُمَّ كَانَ عَلَقَةٗ فَخَلَقَ فَسَوَّىٰ

৩৮. অতঃপর তা একটি জমাট রক্তপিÐে পরিণত হয়। অতঃপর আল্লাহ তাকে সৃষ্টি করেন এবং তার সৃষ্টিকে পরিপূর্ণতা দেন।

আয়াত: 39

فَجَعَلَ مِنۡهُ ٱلزَّوۡجَيۡنِ ٱلذَّكَرَ وَٱلۡأُنثَىٰٓ

৩৯. পরিশেষে তিনি তাকে পুরুষ ও নারী হিসাবে দু’ ভাগে বিভক্ত করেন?!

আয়াত: 40

أَلَيۡسَ ذَٰلِكَ بِقَٰدِرٍ عَلَىٰٓ أَن يُحۡـِۧيَ ٱلۡمَوۡتَىٰ

৪০. বস্তুতঃ যিনি মানুষকে বীর্য থেকে সৃষ্টি করেছেন অতঃপর তাকে রক্তপিÐে পরিণত করেছেন তিনি কি মৃতদেরকে হিসাব ও প্রতিদানের উদ্দেশ্যে নতুন করে জীবন দিতে সক্ষম নন?! হ্যাঁ, অবশ্যই তিনি তা করতে সক্ষম।

এই পৃষ্ঠাৰ আয়াতসমূহৰ পৰা সংগৃহীত কিছুমান উপকাৰী তথ্য:

• خطر حب الدنيا والإعراض عن الآخرة.

ক. দুনিয়ার মোহ ও পরকাল থেকে বিমুখ থাকার ভয়াবহতা।

• ثبوت الاختيار للإنسان، وهذا من تكريم الله له.

খ. মানুষের জন্য ইচ্ছা শক্তি সাব্যস্ত। যা হলো তার জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে সম্মান।

• النظر لوجه الله الكريم من أعظم النعيم.

গ. আল্লাহর মর্যাদাপূর্ণ চেহারার দর্শন সর্বাপেক্ষা বড় নিয়ামত।