অৰ্থানুবাদ ছুৰা আদ-দুখান - আল-মুখতাচাৰ ফী তাফছীৰিল কোৰআনিল কাৰীমৰ বাংলা অনুবাদ - পৃষ্ঠা নং 496 - পৱিত্ৰ কোৰআনৰ বিশ্বকোষ

আদ-দুখান

ছুৰাৰ উদ্দেশ্য:

تهديد المشركين ببيان ما ينتظرهم من العقوبة العاجلة والآجلة.

দুনিয়া ও আখেরাতের শাস্তি অস্বীকারকারীদেরকে সতর্ক করার মধ্য দিয়ে অপেক্ষমাণ শাস্তি সম্পর্কে ভীতি প্রদর্শন করা।

---

আয়াত: 1

حمٓ

১. হা-মীম, এ সব যুক্তাক্ষরের অর্থের ব্যাপারে আলোচনা সূরা বাকারার শুরুতে করা হয়েছে।

আয়াত: 2

وَٱلۡكِتَٰبِ ٱلۡمُبِينِ

২. আল্লাহ হকের পথকে সুস্পষ্টভাবে বর্ণনাকারী কুরআনের নামে শপথ করলেন।

আয়াত: 3

إِنَّآ أَنزَلۡنَٰهُ فِي لَيۡلَةٖ مُّبَٰرَكَةٍۚ إِنَّا كُنَّا مُنذِرِينَ

৩. আমি অতীব কল্যাণপূর্ণ কদরের রাতে কুরআন অবতীর্ণ করেছি। আমি এই কুরআন দ্বারা সতর্ককারী।

আয়াত: 4

فِيهَا يُفۡرَقُ كُلُّ أَمۡرٍ حَكِيمٍ

৪. উক্ত রজনীতে সকল চূড়ান্ত বিষয়াদি বন্টন করা হয়। যা রিযিক, আয়ু ইত্যাদিসহ উক্ত বছরে আল্লাহ যা কিছু সংঘটিত করবেন তার সাথে সম্পৃক্ত।

আয়াত: 5

أَمۡرٗا مِّنۡ عِندِنَآۚ إِنَّا كُنَّا مُرۡسِلِينَ

৫. আমি আমার নিকট চূড়ান্ত সকল বিষয় বন্টন করি। আমি রাসূলদের প্রেরণকারী।

আয়াত: 6

رَحۡمَةٗ مِّن رَّبِّكَۚ إِنَّهُۥ هُوَ ٱلسَّمِيعُ ٱلۡعَلِيمُ

৬. হে রাসূল! আমি রাসূলদেরকে আপনার রবের পক্ষ থেকে ওদের উদ্দেশ্যে রহমত স্বরূপ প্রেরণ করে থাকি যাদের নিকট তাঁদেরকে প্রেরণ করি। তিনি স্বীয় বান্দাদের কথাসমূহ শ্রবণ করেন এবং তাদের কাজ ও নিয়তসমূহ সম্পর্কে জানেন। তাঁর নিকট এর কিছুই গোপন থাকে না ।

আয়াত: 7

رَبِّ ٱلسَّمَٰوَٰتِ وَٱلۡأَرۡضِ وَمَا بَيۡنَهُمَآۖ إِن كُنتُم مُّوقِنِينَ

৭. তিনি আসমানসমূহ, যমীন ও এতদুভয়ের সব কিছুর মালিক। তোমরা যদি দৃঢ় বিশ্বাস রাখো তবে আমার রাসূলের উপর ঈমান আনয়ন করো।

আয়াত: 8

لَآ إِلَٰهَ إِلَّا هُوَ يُحۡيِۦ وَيُمِيتُۖ رَبُّكُمۡ وَرَبُّ ءَابَآئِكُمُ ٱلۡأَوَّلِينَ

৮. তিনি ব্যতীত অন্য কোন সত্যিকার মা’বূদ নেই। যে জীবন ও মরণ দিতে পারে। তিনি ব্যতীত কোন জীবিতকারী ও মৃত্যু প্রদানকারী নেই। যিনি তোমাদের ও তোমাদের পূর্বপূরুষদের প্রতিপালক।

আয়াত: 9

بَلۡ هُمۡ فِي شَكّٖ يَلۡعَبُونَ

৯. এ সব মুশরিকরা এ ব্যাপারে দৃঢ় বিশ্বাস রাখে না বরং তারা এ ব্যাপারে সন্দেহের মধ্যে নিমজ্জিত। তারা ডুবে থাকা বাতিল দিয়ে এ থেকে উদাসীনতা প্রদর্শন করে থাকে।

আয়াত: 10

فَٱرۡتَقِبۡ يَوۡمَ تَأۡتِي ٱلسَّمَآءُ بِدُخَانٖ مُّبِينٖ

১০. অতএব, হে রাসূল! আপনি নিজ জাতির নিকটবর্তী শাস্তির অপেক্ষা করুন। যে দিন আসমান সুস্পষ্ট ধোঁয়া নিয়ে আসবে। যা তারা কঠিন বেদনা ভরে স্বচক্ষে অবলোকন করবে।

আয়াত: 11

يَغۡشَى ٱلنَّاسَۖ هَٰذَا عَذَابٌ أَلِيمٞ

১১. যা আপনার জাতিকে পরিবেষ্টিত করবে এবং তাদেরকে বলা হবে, তোমাদেরকে যে শাস্তি আক্রান্ত করেছে তা অত্যন্ত বেদনাদায়ক।

আয়াত: 12

رَّبَّنَا ٱكۡشِفۡ عَنَّا ٱلۡعَذَابَ إِنَّا مُؤۡمِنُونَ

১২. ফলে তারা স্বীয় প্রতিপালকের দরবারে এই কামনা করবে, হে আমাদের প্রতিপালক! আপনি আমাদের থেকে প্রেরিত শাস্তি দূর করুন। আমাদের থেকে তা দূর করলে আমরা অবশ্যই আপনার উপর ঈমান আনবো।

আয়াত: 13

أَنَّىٰ لَهُمُ ٱلذِّكۡرَىٰ وَقَدۡ جَآءَهُمۡ رَسُولٞ مُّبِينٞ

১৩. কীভাবে তারা উপদেশ গ্রহণ করবে ও স্বীয় প্রতিপালকের প্রতি অনুরাগী হবে? অথচ তাদের নিকট রিসালাতের বর্ণনা প্রদানকারী রাসূল আগমন করেছেন এবং তারা তাঁর সত্যতা ও আমনতদারিতার কথা জানতে পেরেছে।

আয়াত: 14

ثُمَّ تَوَلَّوۡاْ عَنۡهُ وَقَالُواْ مُعَلَّمٞ مَّجۡنُونٌ

১৪. অতঃপর তাঁকে সত্যায়ন না করে তারা বলেছে, তিনি এমন এক শিষ্য যাকে অন্য কেউ শিক্ষা দিয়ে থাকে। তিনি রাসূল নন। তারা আরো বলে যে, তিনি একজন পাগল।

আয়াত: 15

إِنَّا كَاشِفُواْ ٱلۡعَذَابِ قَلِيلًاۚ إِنَّكُمۡ عَآئِدُونَ

১৫. বস্তুতঃ আমি যখন তোমাদের থেকে শাস্তিকে একটুখানি ফিরিয়ে রাখি তখনই তোমরা নিজেদের কুফরী ও পাপাচারের প্রতি প্রত্যাবর্তন করো।

আয়াত: 16

يَوۡمَ نَبۡطِشُ ٱلۡبَطۡشَةَ ٱلۡكُبۡرَىٰٓ إِنَّا مُنتَقِمُونَ

১৬. হে রাসূল! তাদের জন্য আপনি সে দিনের অপেক্ষা করুন যে দিন আপনার সম্প্রদায়ের কাফিরদেরকে বড় ধরনের পাকড়াও করা হবে তথা বদরের দিন। সে দিন আল্লাহকে অবিশ্বাস ও তদীয় রাসূলকে মিথ্যারাপ করার দরুন আমি তাদের থেকে প্রতিশোধ গ্রহণ করবো।

আয়াত: 17

۞ وَلَقَدۡ فَتَنَّا قَبۡلَهُمۡ قَوۡمَ فِرۡعَوۡنَ وَجَآءَهُمۡ رَسُولٞ كَرِيمٌ

১৭. আমি তাদের পূর্বে ফিরআউন সম্প্রদায়কে পরীক্ষা করেছি। তাদের নিকট আল্লাহর পক্ষ থেকে এক সম্মানী রাসূল আগমন করেছেন যিনি তাদেরকে আল্লাহর একত্ববাদ ও ইবাদাতের প্রতি আহŸান করেন। তিনি হলেন মূসা (আলাইহিস-সালাম)।

আয়াত: 18

أَنۡ أَدُّوٓاْ إِلَيَّ عِبَادَ ٱللَّهِۖ إِنِّي لَكُمۡ رَسُولٌ أَمِينٞ

১৮. মূসা (আলাইহিস-সালাম) ফিরআউন ও তার জাতিকে বললেন, তোমরা আমার জন্য বনী ইসরাইলকে ছেড়ে দাও। তারা মূলতঃ আল্লাহর বান্দা। তাদেরকে তোমাদের দাসে পরিণত করা তোমাদের জন্য আদৗ উচিৎ নয়। আমি তোমাদের উদ্দেশ্যে আল্লাহর প্রেরিত রাসূল। তিনি আমাকে যে বিষয়ে তোমাদেরকে দা’ওয়াত দিতে নির্দেশ করেছেন সে ব্যাপারে আমি বিশ্বস্ত। তা থেকে আমি কোন কিছুই হ্রাসও করবো না; বৃদ্ধিও করবো না।

এই পৃষ্ঠাৰ আয়াতসমূহৰ পৰা সংগৃহীত কিছুমান উপকাৰী তথ্য:

• نزول القرآن في ليلة القدر التي هي كثيرة الخيرات دلالة على عظم قدره.

ক. কল্যাণের প্রাচুর্যে ভরা ভাগ্য রজনীতে কুরআনের অবতরণ এর মহা মর্যাদার পরিচায়ক।

• بعثة الرسل ونزول القرآن من مظاهر رحمة الله بعباده.

খ. রাসূলের প্রেরণ ও কুরআনের অবতরণ আল্লাহ কর্তৃক বান্দাদের প্রতি রহমতের কারণ।

• رسالات الأنبياء تحرير للمستضعفين من قبضة المتكبرين.

গ. নবীদের বার্তাসমূহ দুর্বলদেরকে অহঙ্কারীদের কবল থেকে রক্ষার নামান্তর।